গাজীপুরের টঙ্গীর ভরান এলাকায় একটি বাসা থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গী দক্ষিণ ভরাণ মুন্সীপাড়া এলাকার কাদির মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। মৃত ওই গৃহবধূর নাম নারগিস পারভিন (৪০)। তার স্বামীর নাম আলী খান। নারগিস পাবনা জেলার সাতিয়ানি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সকালে নোয়াব আলী তার স্ত্রীকে বাসায় রেখে কাজে যোগ দেয়। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়ির ষষ্ঠ তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সিসি ক্যামেরায় কোনো ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ধারালো ছুরি দিয়ে গলা ও বাম হাতের তিনটি আঙুল কাটার চিহ্ন রয়েছে।
স্বামী নোয়াব আলী জানান, আমি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। দুপুরে নেত্রকোণা জেলা থেকে আমার মেয়ে চন্দ্রা মল্লিকা ফোনে তার মাকে না পেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে সন্ধ্যায় কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসি।এ সময় বাসায় এসে ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও কাপড় এলোমেলো এবং আলমারিতে থাকা কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ টাকা ছিল, সেগুলো নেই। পাশের একটি কক্ষে আমার স্ত্রীর মরদেহ পড়ে আছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা কি না, তা বলা যাচ্ছে না। তবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনাটি দিনের কখন ঘটেছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য