বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, আজ সকালে পলককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। পরে শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, তিনি লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।
তিনি আরও বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।
পলকের এই আইনজীবী বলেন, বারবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক।
মন্তব্য