আগামীকাল বিদায় নিচ্ছে ২০২৩ সাল। থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তায় নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে খোলা স্থানে সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাতিরঝিলে সমাবেশ বা অনুষ্ঠান ও অবস্থান করা যাবে না।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এসব নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়।
পটকা-আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এসব বিবেচনায় থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এগুলো হলো– সড়কের মোড়, ফ্লাইওভার ও প্রকাশ্য স্থানে সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ, নাচ-গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে এবং বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাত ৮টার মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ৮টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
নির্দেশনায় রয়েছে– গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না। ওই এলাকায় বসবাসরতদের নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে প্রবেশ করতে হবে।
হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোনো যানবাহন থামিয়ে, অথবা পার্ক করে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। আবাসিক হোটেলগুলো সীমিত আকারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।
ক্যাপসের আহ্বান
ইংরেজি নববর্ষে দেশবাসীকে আতশবাজি ও ফানুস না পোড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে রাজধানীর বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। শনিবার ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এক বিবৃতিতে বলেন, আতশবাজির শব্দে প্রাণী ছাড়াও শিশু, বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা মা ও রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।
গত বছর শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে, অনেকেই হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বহু পাখি মারা গেছে। বছরের শুরুর রাতে রাজধানীতে বায়ুদূষণ চলে যায় বিপজ্জনক পর্যায়ে। ২০২৩ সালে এক রাতে দেশের ২০০ স্থানে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
মন্তব্য