নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন (মোটরসাইকেল)।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ওই ইউনিয়নের টারুর মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে আকতার হোসেন বলেন, নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়া এবং আমিসহ আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল (নৌকা) তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কেন্দ্র দখল করে জোর করে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মেরেছে এবং আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আমাদের আহত করেছে। প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে রির্টানিং কর্মকর্তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। প্রশাসনও কোনো রকম সহায়তা করেনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যে কেন্দ্র দখল ও আমাদের ওপর হামলা হবে তা আমি আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করে আসছিলাম এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে আসছিলাম। কিন্তু আমার আবেদনের পরেও প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কেন্দ্র দখল করে শ্যামলের ভাড়া করা ক্যাডার বাহিনী।ঠেকানো গেল না কেন্দ্র দখল ও হামলা।
স্বতন্ত্রর প্রার্থী আক্তার হোসেন খন্দকার দাবি করেন, গড্ডিমারীর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু ব্ক্কর সিদ্দিক শ্যামলের লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতায় কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে বাক্স ভরেছে। এছাড়াও গড্ডিমারী হাট খোলা, মাস্টারপাড়া, ও গড্ডিমারী মেডিক্যাল মোড়ে তিনটি ভোট কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের বুথ থেকে জোর বের করে দেওয়া হয়েছে এবং ব্যালটে নৌকার সিল মেরে নেওয়া হয়েছে। এ প্রহসনের এ নির্বাচন আমি বর্জন করলাম। ফল প্রকাশ না করার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা, উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তাসহ সংশিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানাবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
গড্ডিমারী ইউপির উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- স্বতন্ত্রপ্রার্থী আক্তার হোসেন খন্দকার (মোটরসাইকেল), আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিত শ্যামল (নৌকা), জাপা মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার (লাঙল), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ)।
মন্তব্য