ঠাকুরগাঁওয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু 

  • সাদ্দাম হো‌সেন, ঠাকুরগাঁও :
  • রবিবার, ০৩ মে ২০২০ ১১:৫৫:০০
  • কপি লিঙ্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আব্বাস আলী। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে ডিউটি থেকে বাসায় ফেরার পথে বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করলে তাৎক্ষণিক ভাবে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে বাংলাদেশ জমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম। ওই পুলিশ অফিসারের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার ভজনপুর গ্রামে। 

অপর দিকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাড়ি ছাড়তে বলার অভিযোগ। ‘করোনা ভাইরাসের শঙ্কায়’ ঠাকুরগাঁওয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে এ অভিযোগ করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নাজমুল হক।

শুধু তিনি নন, ওই বাড়িতে কনেস্টবল আলমগীর ও এএসআই জসিমও পরিবার নিয়ে বাস করতেন। তাদেরকেও হয়রানি করে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছেন ওই বাড়ি মালিক রতন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হক কে জানান, গত ১১ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার জমিদারপাড়ার বাসিন্দা রতন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তখন থেকে সেই বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করছেন তিনি।
 
“বাড়ি ভাড়া নেয়ার পর থেকে বাড়ি মালিক রতন ও তার স্ত্রী আমাদের সাথে ভালোই ব্যবহার করতেন। দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করেন বাড়ির মালিক।” 

সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে দেওয়া পুলিশ কনেস্টবল আলমগীর কে বলেন, “করোনার আগে বাড়ি মালিক রতন ও তার স্ত্রী আচরণ ভালোই ছিল। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ঘর ছেড়ে দিতে মালিকপক্ষ নানা চাপ দেয়। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, “কিছুদিন আগেও ওই বাড়ি মালিক দুই পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘর ছাড়া করেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাড়ি মালিক রতনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। 

 

বাংলাদেশ জমিন/ সংবাদটি শেয়ার করুন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য