অবগত নয় প্রশাসন

তিনমাস ধরে চলছে আওয়ামী লীগ নেতার অবৈধ মাটি কাটার জমজমাট ব্যবসা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:
  • শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:০৪:০০
  • কপি লিঙ্ক

 আওয়ামী লীগ নেতা রফিক মাতুব্বর। ক্ষমতার দাপটে এখনও মাটি কাটার অবৈধ লিক চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জনসমক্ষে রাতের আঁধারে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর বড় বিলে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ফসলের জমি নষ্ট করার পাশাপাশি নিজের পকেট ভারী করছে। টানা তিন মাস ধরে রফিক মাতুব্বরের নিয়ন্ত্রনে ভেকু দিয়ে মাটি কাঁটার মহোৎসবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক একর ফসলের জমি। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা ঘাট। গরমের সময় ধুলোয় বালিতে মিশে একাকার বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নীরব সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্র মতে, দিনের বেলায় সুনসান নীরবতা। সন্ধ্যা নামলেই ভেকু মেশিন দিয়ে শতাধিক ট্রাকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। মাটি কাটার কাজ চলে ভোরবেলা পর্যন্ত। রেললাইনের পাশে প্রায় ৩ একর জায়গা জুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক মাতুব্বরের ক্ষমতার দাপট। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার সুবাদে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস অথবা প্রতিবাদ করার উপায় নেই। তার বিপক্ষে কোন কথা বললে সামাজিকভাবে বিবিধভাবে হয়রানি করা হয়। অভিযোগ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয়ে অবৈধ বালু কাটার লিক তিন মাসের অধিক সময়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চললেও প্রশাসনের নীরবতা জনমনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় বসতি ইকরাম আলী জানান, গত তিনমাসের অধিক সময় নিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয় ভেকু মেশিন চালিয়ে মাটি কাটার জমজমাট ব্যবসা করে আসছে। অবৈধ ড্রেজিং মেশিন ও ভেকু মেশিন ক্ষমতা বলে চালিয়ে আসলেও রহস্যজনক ভূমিকায় প্রশাসন। 

রফিক মাতুব্বরের অবৈধ মাটি কাটার ডেরার বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নয়। সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার পর অবৈধ বালু কাটার ভেকু মেশিনের ঘটনাটি সহকারী কমিশনার ভূমিকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে অভিযান চালিয়ে জব্দ করার জন্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য