হাঁস তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা; গ্রেপ্তার ৫ 

  • তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:০২:০০
  • কপি লিঙ্ক

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হাওরে হাঁস তাড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে জড়ালে এ সময় মালিকের ছুরিকাঘাতে রনজিৎ দাস (২৬) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ(২৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের প্যায়ারিনগড় গ্রামে। 

নিহত যুবক রনজিত দাস পলাশ ইউনিয়নের প্যায়ারিনগড় গ্রামের জয়কুমার দাসের ছেলে। রনজিত দাস পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক।

এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক একই গ্রামের হাঁস মালিক ঘাতক অজিৎ কুমার দাস( ২৬) সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ। 

সুত্রে যানাযায়, নিহত রনজিত দাস দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের একটি ইট ভাটার কাজ করার সুভাদে সপ্তাহে ৬ দিন সুনামগঞ্জেই থাকতেন। সে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি আসে আর শনিবার সকাল কর্মস্তলে ফিরে যেতেন । এ দিকে প্রায় এক মাস যাবৎ ঘাতক অজিৎ কুমার দাস তার পালিত হাঁসের পাল নিহত রনজিত দাসের বাড়ি সামনের গর্তে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়ে (ঘোসল করার পুকুর ) ঘোসলের নষ্ট করে।  

এতে নিহত রনজিত দাসের বাবা - মা প্রতি দিনেই হাঁস মালিক ঘাতক অজিৎ কুমার দাসের হাঁস দ্বারা গর্তের ঘোসলের পানি নষ্ট না করার জন্য  বাধাঁ দিলে উল্টো অজিৎ কুমার দাস তাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসতো। কিন্তু আজ শনিবার সকালে হাঁস মালিক অজিৎ কুমার দাস আবারও তার হাঁসের পাল নিহত রনজিত দাসের গোসল করার পুকুরে ছেড়ে দিয়ে যায়। পরে রনজিত দাস দেখতে পেয়ে হাঁসের পাল তাদের পুকুর থেকে তাড়িয়ে হাঁস মালিক অজিৎ কুমার দাসের বাড়ির দিকে নিয়ে যায়।  এ সময় অজিৎ কুমার দাসের বাড়ি সামনে হাঁসের পাল নিয়ে যাওয়া মাত্রই তা দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে রনজিত দাসকে গালাগালি ও মারধর শুরু করে হাঁস মালিক অজিৎ কুমার দাস।

 এ সময়  অজিৎ কুমার দাসের বাড়ি থেকে ভাই ভাতিজসহ আরও  ৬/৭ জন এসে মারতে থেকে রনজিত দাসকে। একপর্যায়ে অজিৎ কুমার দাসের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে রনজিত দাসের বুকে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো আঘাত অজিৎ কুমার দাসসহ সবাই পালিয়ে যায়। এ সময় রনজিত দাসের সুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ হাসপাতালে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক জানান, অভিযান চালিয়ে ঘাতক অজিৎ কুমার দাশসহ এ ঘটনায় জড়িত মোট ৫ আসামিকে  প্রায় দুই ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ নিউজ লিখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য