ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে কৃষকের বসত বাড়িতে দেখা মিলল বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬টার দিকে ঐ গ্রামের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন পান্নু মোল্যা (৪৬) এর বাড়িতে দেখা মিলে সাপটির।
বাড়ির মালিক পান্নু বলেন, সন্ধার পর মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়িতে ঢুকছিলেন। বাড়ির উঠানে এসে ঘড়ে ঢোকার আগ মুহূর্তে ফোস ফোস শব্দ তার কানে আসে। পরে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সাপটিকে তার ঘরে ঢুকতে দেখে লাথি মেরে নিচে ফেলে দিই। প্রায় সাড়ে চার ফুট দৈর্ঘ্যের প্রাপ্তবয়স্ক সাপটিকে দেখার পর আতঙ্কিত জনতা সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। পান্নু এ পর্যন্ত তার বাড়ির আশেপাশে থেকে এর আগেও চারটি রাসেলস ভাইপার সাপ জনতার হাতে মারা পড়তে দেখেছে বলে জানান।
জানা যায়, ২০১৬ সালে চরভদ্রাসনে চরাঞ্চলে প্রথম রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা যায়। মাঝে দু-এক বছর এই সাপের উপদ্রব কম থাকলেও ২০২২ সাল থেকে চরাঞ্চলসহ আশে পাশের লোকালয়ে মাঝে মধ্যেই রাসেলস ভাইপার সাপ মানুষের হাতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত এই সাপের কামড়ে চরভদ্রাসনে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপটির বিষয়ে জানতে চাইলে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব একটু বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। শীতকালে সাপের উপদ্রব একটু কম থাকে। চরভদ্রাসন হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম রয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে সাপে কামড় দিলে আতঙ্কিত হয়ে ওঝা দিয়ে ঝাড়-ফুক না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্তব্য