ফরিদপুরে ও ভাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাসের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। নিহত সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার ১৮ বছর পুর্তি উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে দৈনিক সমকাল ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ফরিদপুর শহরের শ্রীঅঙ্গন ও বান্ধব পল্লীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও দুস্থ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন প্রয়াত গৌতম দাসের স্ত্রী দিপালী দাস। গৌতমের জন্মস্থান ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে ভাঙ্গার সাংবাদিক সমাজ ও গৌতম দাস পরিবারের উদ্যোগে সমাধীতে পুস্পমাল্য দান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রয়াত গৌতম দাসের নিষ্ঠা, ন্যায় পরায়নতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ অনুসরণ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে বক্তারা বলেন, সততা, নিষ্ঠা, নির্ভিকতা ও দায়িত্ববোধ ছিল গৌতমের চরিত্রের মৌলিক আদর্শ। গৌতমের আদর্শকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। গৌতমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়াই হবে তার স্মৃতির প্রতি সঠিক শ্রদ্ধা নিবেদন করা।
ভাঙ্গা উপজেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনে কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকদের পাশাপাশি ভাঙ্গা উদীচী শিল্প গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গৌতম দাসের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গার খবর পত্রিকার সম্পাদক মামুনুর রশিদ, প্রফেসর দিলীপ দাস, অজয় দাস, সাইফুল ইসলাম শাকিল, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ভাঙ্গা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মোঃ বে-নজীর আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক কমরেড লিয়াকত মোল্লা প্রমূখ।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। গৌতম দাস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিকসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনতা। পরবর্তিতে এ হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ফরিদপুরের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
মন্তব্য