দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গ্যাস বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সীমান্ত পাল ও প্রসেনজিৎ পাল নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউপির কুমারপাড়া গ্রামের প্রতাব চন্দ্র পালের ছেলে প্রসেনজিৎ চন্দ্র পাল (১৪) ও নিখিল চন্দ্র পালের ছেলে সীমান্ত চন্দ্র পাল (১৬)। তারা সর্ম্পকে চাচাতো ভাই। নিহত দুইভাই ভাতগাঁও শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল চন্দ্র রায় জানান, সীমান্ত পালের বাবা নিখিল চন্দ্র পাল গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করেন। কিন্তু নিখিল পাল অসুস্থ থাকায় রাতে পূজা মণ্ডপে বেলুন বিক্রির জন্য সন্ধ্যায় বাড়িতে বসে গ্যাস সিলিন্ডারে বেলুন ফুলানোর কাজ করছিল নিখিল চন্দ্র পালের ছেলে সীমান্ত পাল। এসময় পাশে বসে তাকে সহযোগিতা করছিল সীমান্ত পালের চাচাতো ভাই প্রসেনজিৎ পাল। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটলে সীমান্ত পাল ও প্রসেনজিৎ পাল গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু ঘটে। সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে তাদের বাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ময়নুল ইসলাম দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে নিহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাতে তাদের বাসায় যান স্থানীয় সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এসময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বীরগঞ্জ সার্কেল) মো. খোদাদাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মরদেহ সৎকারের জন্য সরকারের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে এলাহী।
মন্তব্য