ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাওনা টাকার দাবীতে একটি মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ অক্টোবর দুপুরে ভাঙ্গা পৌরসভার কলেজ পাড়ের আরামবাগ চরকান্দা আমতলার মার ঈয়াম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানায়।
মাদরাসার পরিচালক সুরভী বেগম জানান, আমার স্বামী কাউসার শেখ অবসর প্রাপ্ত একজন সেনা সদস্য। আমার স্বামী তার চণ্ডীদাসদী গ্রামের বন্ধু রিজাউল মুন্সী মিলে ঢাকা উত্তরার ব্রাইট ফিউচার নামের একটি কোম্পানিতে কিছু টাকা রাখেন। চারবছর অন্তর কোম্পানি তাদের মূলধনের দ্বিগুণ দেওয়া হবে বলে। এসময় আমার স্বামী ও তার বন্ধুর কাছ থেকে একথা শুনার পরে এলাকার অনেকেই উত্তরার ব্রাইট ফিউচার কোম্পানিতে খোজ খবর নিয়ে সেখানে টাকা রাখেন। কিন্ত দুই বছর পর ওই কোম্পানি দেওলিয়া হয়ে গেলে গ্রাহকদের টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় গ্রাহরা টাকার জন্য আমার স্বামীর উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বাড়িতে আসলেই তাকে এবং আমাদের পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয়ে ।
পূর্ব ঘটনার জেরধরে ১৬ অক্টোবর দুপুরে বেশ কয়েজন অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তি ব্রাইট ফিউচার কোম্পানির গ্রাহক পরিচয়ে আমার পরিচালিত মাদ্রাসায় এসে হুমকি ধামকির পাশাপাশি আমার স্বামীকে মারপিট করে আহত করে। এসময় মাদ্রাসার কমলমোতি শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে মাদ্রাসার বিভিন্ন কক্ষে পালিয়ে থাকে।
এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা আমাদের পরিবারকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সটকে পরে। বর্তমানে আমার স্বামী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় আমি একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার হাতে এমন কোন অভিযোগ আসে নি। তবে আসলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
মন্তব্য