পটুয়াখালীর দুমকিতে ঈশিতা রানী (২২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বামী ও শশুর পরিবারের দাবি, স্ট্রোকজনিত অসুস্থতায় হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার (ঈশিতা) মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে স্বামী ও শাশুড়ীর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনে ঈশিতাকে মেরে ফেলার অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর বাবা কৃষ্ণকান্ত মাঝি।
বুধবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ ঈশিতার মৃত্যু হলে রাত ৩টায় মরদেহ স্বামীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়ায় নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বার সকালে প্রতিবেশী শত শত নারী-পুরুষ গৃহবধূর লাশ দেখতে ওই বাড়িতে ভীর জমায়।
ইশিতার বাবা কৃষ্ণকান্ত মাঝি অভিযোগ করেন, ইশিতাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটুয়াখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার খবরও দেয়া হয়নি, লোকমুখে খবর পেয়ে দেখতে গিয়ে অচেতন দেখি। অচেতন অবস্থায় আমাদের রেখে তারা ইশিতাকে বরিশাল হাসপাতালে নেয়। তারা শশুর, শাশুড়ি ও জামাই মিলে পরিকল্পিতভাবেই অত্যাচার নির্যাতন করে আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হান্নান বলেন, গৃহবধূর মৃত্যু অভিযোগ লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্তব্য