জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পানি পান করতে গিয়ে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অক্সিজেনের অভাবে এদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তবে, এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১০ শিক্ষার্থী সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এরা সবাই উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় এলাকার চাইল্ড কেয়ার একাডেমিক স্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, ওই এলাকার তোজাম্মেলের মেয়ে মেঘলা, টুকন মিয়ার মেয়ে তমা, আমিনুল ইসলামের মেয়ে তর্জনী, শফিকুল ইসলামের মেয়ে চৈতি, আল আমিনের মেয়ে আশা, আব্দুল খালেকের মেয়ে নাদিয়া, সুরুজ্জামানের মেয়ে স্বর্ণা, লাভলু মিয়ার মেয়ে লাবণ্য, এছাড়াও জান্নাতুন ফেরদৌস, তানিয়া।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, সকাল থেকে স্কুল কার্যক্রম চললেও বিকেল ৪টা কোচিং কার্যক্রম চলমান থাকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রতিদিনের মতো বিকেলে শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে যায়। অতিরিক্ত গরমে এক শিক্ষার্থী পানি পান করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে একে একে অন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ১০ জনকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ শিক্ষার্থী তর্জনীর বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, মেয়েটা ভালোভাবেই বিকেলে কোচিং সেন্টারে গিয়েছিল। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শুনতে পাই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। এভাবে আরও অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন।
চাইল্ড কেয়ার একাডেমিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কামরুজ্জামান লিটন বলেন, কোচিং ছুটির কিছুক্ষণ আগে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সহকর্মীরা।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. বদরুল আমিন বলেন, যখন অনেকগুলো মানুষ একসঙ্গে কোনো বদ্ধ ঘরে অনেকক্ষণ অবস্থান করে তখন ওই ঘরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। যেটাকে মেডিকেল সায়েন্সে হাইপোক্সিয়া বলা হয়ে থাকে। এর কারণে একজনের দেখাদেখি ওই ঘরে থাকা প্রত্যেকে এটাতে আক্রান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরা সকলেই এভাবেই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। একটু সময় পেলে এরা একে একে সুস্থ হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর , খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কি কারণে এটা হয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য