অকুতোভয়ে মোটরসাইকেল-অটো চুরি করা ছিল ওদের নেশা

  • ফরিদপুর প্রতিনিধি:
  • শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০২৩ ০৮:০৮:০০
  • কপি লিঙ্ক

ছোট গাড়ি চুরি করতে সংঘবদ্ধভাবে সক্রিয় ছিল ওরা সাতজন। কেউ মোটরসাইকেল চুরি করত। কেউ আবার অটো রিকশা। নেশার মত গাড়ি চুরি করাই ছিল ওদের নেশা। সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে ১৬টি মামলা হলেও থেমে ছিল না সিদ্ধহস্ত গাড়ি চুরির কাজ। অবশেষে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল ও  অটো চোর চক্রের সাত সদস্যকে ফরিদপুর জেলা পুলিশ গ্রেপ্তারে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।

মোটরসাইকেল ও অটো চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করায় শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

তিনি জানান, ফরিদপুরের জেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলায় মোটরসাইকেল ও অটো গাড়ি চুরি করে আসছিল সংবদ্ধ চোর চক্রে। অবশেষে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল ও ৬ টি অটোবাইক উদ্ধারসহ একাজের সাথে জড়িত চোরাই চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার কৃতরা হল, মো. রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বর, মো. বাদশা ফকির, সিদ্দিক সরদার, মো. আল-আমিন, আয়নাল হোসেন, সাদ্দাম মোল্লা, ইয়াছিন খাঁ। ঢাকা, রাজবাড়ি ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গ্রেপ্তারকৃত সাতজনের বাড়ি।

পুলিশ সুপার আরও জানান, শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়েলিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার  দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলার রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল ও মাস্টার চাবি জব্দ করা হয়।

পরে  রাসেলের দেয়া তথ্যমতে বাদশা ও সিদ্দিককে গ্রেপ্তারকালে দুজনের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪টি করে ৮টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। 

সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অটোবাইক চুরির ঘটনার পাশাপাশি একটি হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে আসামি সিদ্দিকের তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি চোরাই অটোবাইক উদ্ধার করা হয়।

 এছাড়া সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে আয়নালকে গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে আরও ৩টি চোরাই আটোবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি, বাদশার ৯টি, সিদ্দিকের ৮টি, সাদ্দামের ৪টি, ইয়াছিনের ৪টি ও আল-আমিনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে অংশ নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক বৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য