ফরিদপুরে চোরাই ৯টি মোটরসাইকেল, ৬টি ইজিবাইকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুরে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ প্রেস বিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আজ ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, ফরিদপুর সদরের দক্ষিণ চর মাধবদিয়ার ছনেরটেক, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জবানীপাড়া, ফরিদপুরের সদরপুরের হাটকৃষ্ণপুর ও ফরিদপুর শহরের আলীপুর বাদামতলী সড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের বাড়ি ও বিভিন্ন গ্যারেজ থেকে মোট ৯টি মোটরসাইকেল, ৬টি ইজিবাইক ও ৩টি মাস্টার কি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ও চোরাই মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক উদ্ধারের বিবরণ দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাই পালসার মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় মো. রাসেল ওরফে মনির মাতুব্বরকে। তাঁর কাছ থেকে নগরকান্দা থেকে চুরি করে নেওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশের তিনটি দল অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার সাত ব্যক্তি হলেন ঢাকার দোহারের পানকুণ্ড গ্রামের মো. রাসেল, ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের ছনেরটেক গ্রামের মো. বাদশা ফকির, শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার সিদ্দিক সরদার, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জবানীপাড়া গ্রামের মো. আল আমীন, ফরিদপুরের নগরকান্দার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আয়নাল হোসেন, ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের রশিদ মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামের সাদ্দাম মোল্লা ও ফরিদপুর শহরের পূর্ব আলীপুর মহল্লার ইয়াছিন খাঁ।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার সাত ব্যক্তি আন্তজেলা মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চোর দলের সদস্য। তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চুরি করে বিক্রি করছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মো. রাসেলের নামে ১৬টি, বাদশা ফকিরের নামে ৯টি, সিদ্দিক সরদারের নামে ৮টি, সাদ্দাম মোল্লা ও ইয়াছিন খাঁর নামে ৪টি করে মামলা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দিন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জব্বার বাদী হয়ে আজ সকালে একটি মামলা করেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, আসামিদের আজ বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তবে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
মন্তব্য