ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গুলজার হোসেনকে(৫৮) গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেরানীগঞ্জ সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ সকাল ৭ টায় ডিএমপির সূত্রাপুর এলাকা অভিযান পরিচালনা করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও কোন্ডা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার গুলজার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কোন্ডা ১০ শয্যা হাসপাতালের ভেতর বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারকৃত গুলজারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার ও তানুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আসামি তাজুল ইসলাম তানু, গুলজার, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মো. আসিফদেরকে উক্ত আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ইতিপূর্বে অন্যান্য আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও উক্ত মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি
গুলজার আত্মগোপন ছিলো।
তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গুলজার হোসেন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ নিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি গুলজারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। ওই শত্রুতার জের ধরে সে নিজে ও গুলজারসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে শম্পা নামে এক নারীর মাধ্যমে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে হাসপাতালে ডেকে আনে। পরে রাতের আঁধারে পেট্রল দিয়ে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মন্তব্য