হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চুরি ডাকাতি রোধে পুলিশের স্পেশাল টিম মাঠে কাজ করছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চুনারুঘাটের বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়। এতে চুরি-ডাকাতি রোধে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
পুলিশের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, চোরচক্রকে গ্রেপ্তার করতে বিশেষ নিরাপত্তা ছক তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অতীতের নানা বিষয় মাথায় রেখে এবার মাঠে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধীরা যাতে অপরাধ করে পার পেয়ে না যায় সে জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশের স্পেশাল টিমও। পাশাপাশি বাইরের অপরাধীরা যাতে উপজেলায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রবেশ পথগুলোতে পুলিশের রয়েছে কড়া নজরদারি।
জানা যায়, সম্প্রতি চুনারুঘাটে আমতলী মুদির দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। রোববার সিসিটিভির ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলার স্বর্ণরেখ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪) ও পার্শ্ববর্তী হরিপাশা গ্রামের এরাজত উল্ল্যার ছেলে খয়রুল্লাহ (৩৮)। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে চুরি হওয়া বড় ২টি ড্রাম ও ১৮৬ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়। পরে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে পৌরসভার নয়ানী গ্রামের বাবুল মিয়ার অটোরিকশা টমটম চুরির ঘটনায় একই গ্রামের জাহির মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া (৩৪), পৌরসভার উত্তর বাজার জাকারিয়ার বাসায় চুরির ঘটনায় চেতনানাশক স্প্রে পার্টির সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য গোবরখলা গ্রামের আব্দুল শহীদের ছেলে মাসুক (৩৯) ও তার সহযোগী দুধপাতিল এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আজিম (২৮), ধনশ্রী গ্রামের ডাকাতির ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ নিশাপট এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে শিপন (২৫), পৌর শহরের উত্তর বাজার হাবিবুর রহমানের বাসায় চুরির ঘটনায় অজ্ঞান পাটির সদস্য দুধপাতিল এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে রিয়াজ (২২) সহ বিভিন্ন মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, ‘উপজেলার মানুষ যাতে স্বস্থিতে থাকে সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ পাহারা বসানো হয়েছে। যাহাতে গভীর রাতে চুরি ডাকাতি করতে না পারে। অপরাধীদের দমন করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। এছাড়াও চোর ডাকাত গ্রেপ্তার করতে টহল জোরদার ও রাত্রিকালীন চেকপোস্টসহ চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চুরির বিষয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। চুরির ঘটনারস্থল এবং আশপাশ থেকে আরও কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। অনেকের নাম পাওয়া গেছে’। অপরাধী যে কেউ হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া যাবে না।
মন্তব্য