বোয়ালমারীতে কৃষকের পাট চুরির অভিযোগ 

  • অনলাইন
  • রবিবার, ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৭:০৮:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী গ্রামের এক বর্গাচাষী কৃষককে চুরির অভিযোগ দিয়ে শুকনা পাট  লুটপাট ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ তার পরিবারকে গালাগালি করা হয়। 

আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট)  সকাল সাড়ে সাত টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন- একই গ্রামের চরপাড়ার রতনের ছেলে বিশু। তিনি তার পাড়ার ছোট মাতুব্বর হিসেবে পরিচিত। ভুক্তভোগী কৃষক হলেন মৃত হাশেম শেখের ছেলে বাবুল শেখ। তিনি স্থানীয় আলিম মোল্লার জমিতে বর্গা চাষ করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে অভিযুক্ত বিশু ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করে। পরে দাবি করে উঠোনে শুকাতে দেয়া অর্ধেক পাট তার। পরে সে তার পাড়ার দলবল নিয়ে হাজির হয়ে ভয় দেখিয়ে পাট লুটপাট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ভুক্তভোগী বলেন, আমি গতকাল পাট শুকাতে দিয়েছি। তার তো কাঁচা পাট হারিয়েছিল। সে আমাকে জিজ্ঞেসও করেছিল। তাকে আমি নদীতে গিয়ে পাট দেখে পরখ করে আসতে বলেছিলাম।  কিন্তু সে তো তখন যায়নি।  এখন সে কিভাবে দাবি করে? 

এবিষয়ে অভিযুক্ত বিশু বলেন, আমি তাদের বাড়ির পাশে এক মেহগনির বাগানে পাটের পাতা পঁচাতে রেখেছিলাম। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমি পাট ৫০-৬০ আঁটি কম পাচ্ছি। পরে তাঁকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম।  সে বলে, নদীতে গিয়ে দেখে আসতে। আমি কেন নদীতে যাবো? ওরা না নিলে এ পাট যাবে কোথায়? 

জানা যায়, ১৫ দিন আগে বিশু মিয়ার কাঁচাপাট হারিয়ে যায়। এদিকে বাবুল শেখ ১২-১৩ দিন আগে নদীতে পাট পচাতে দেয়। পচানোর আগে বিশু মিয়াকে নদীতে গিয়ে পাট দেখে আসতে বলে বাবুল শেখের স্ত্রী। কিন্তু বিশু নদীতে যায় নি।

এদিকে বাবুল শেখের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এক নিকটের প্রতিবেশী হলেন লুৎফর শেখ। বিশু মিয়ার আত্মীয়। তার দুই ছেলে ইসরাফিল ও জীবন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে তাদের পরিবারকে।

স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পলিন্স শেখ চাঁন বলেন, আমার কাকা গিয়ে দেখে এসেছে। সেখানে দুরকমের পাট নেই। শুধু শুধু হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয়েছে বাবুল চাচাকে।

তিনি আরও বলেন, বিশু এলাকায় গাঁজাখোর হিসেবে পরিচিত। বাবুল চাচাকে আমি বুঝিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগপত্র পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ পদক্ষেপ নিবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য