খুলনায় বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে বুধবার। এদিন রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
এদিকে প্রবল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে খুলনার নিম্নাঞ্চল। নগরীর অধিকাংশ সড়কে জমেছে হাঁটু সমান পানি। বেশির ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার অধিকাংশ বাড়ির নিচতলা তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, শিববাড়ি মোড়, তেঁতুলতলা মোড়, পিটিআই মোড়, তালীমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাযিল মাদরাসা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, বেনী বাবু, স্যার ইকবাল, প্রান্তিকা, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া, রেলওয়ে হাসপাতাল, মিস্ত্রিপাড়া, রূপসা স্ট্যান্ড, আহসান আহম্মেদ, বাবুখান, শিপইয়ার্ড রোড, নতুন বাজার, কেডিএ অ্যাভিনিউ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগীদের দাবি নগরীর আশপাশের খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।
নগরীর বাইতি পাড়া এলাকারা বাসিন্দা শাইকুল ইসলাম শাকি বলেন, গত ১০ বছরে এতো পানি আগে উঠতে দেখিনি। রাস্তা থেকে আমার অফিস দেড় ফুট উঁচু। রাত সাড়ে তিনটায় দরকারি জিনিসগুলো উপরে উঠিয়ে রাখা লাগলো।
তালীমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নাজমুস সউদ বলেন, বুধবার রাতের বৃষ্টির পানিতে খুলনা মহানগরীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস প্লাবিত হয়েছে। মসজিদের ভেতর, ছাত্রাবাস, এতিমখানা,হেফজখানা,ডায়নিং হলসহ সবকিছুই প্লাবিত। মাঠ-রাস্তা পুকুর পানিতে একাকার।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় গত ৪-৫ বছরের মধ্যে একদিনে এত বৃষ্টি হয় নি। লঘুচাপের কারণে এত বৃষ্টি হয়েছে। আস্তে আস্তে বৃষ্টির প্রবণতা কমে যাবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
মন্তব্য