আনন্দ ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির ১০ জিলহজ; পবিত্র ঈদুল আজহা। রাত পোহালেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় উৎসব। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করবেন মুসল্লিরা। শরিয়ত মোতাবেক ঈদুল আজহার নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়।
ঈদের দিনের প্রথম আমল হলো ঈদগাহে গিয়ে ইমামের পিছনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। ঈদের নামাজ ওয়াজিব।
ঈদুল আজহার দিনে কোরবানি প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আজকের দিনে আমরা সর্বপ্রথম ঈদের নামাজ আদায় করব। এরপর কোরবানি করবো। (বুখারি ৯৬৮)
আরেকটি হাদিসে আছে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, যেসব মুসলিম পুরুষ, জামাতে উপস্থিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের সক্ষমতা রাখেন তাদেরকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১৭)।
তাই কোরবানির দিন ঈদের নামাজের আগে অন্য কোনও ব্যস্ততা রাখা উচিত নয়। প্রত্যেকের উচিত ফজর থেকে সব রকমের ব্যস্ততা যেন ঈদের নামাজ ঘিরেই হয়।
এরপরও যদি কোনো কারণে কারও ঈদের নামাজের এক রাকাত ছুটে যায়, তাহলে তিনি যেখান থেকে নামাজ পান সেখান থেকেই শুরু করবেন এবং ইমামকে অনুসরণ করবেন। ইমাম সালাম ফিরানোর পর আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে সানা পড়বেন। তারপর সুরা ফাতিহার সঙ্গে মিলিয়ে অন্য কোনও সুরা পড়বেন।
তারপর তিনটি অতিরিক্ত তাকবির দিবেন। অতিরিক্ত তাকবির শেষে রুকুর তাকবির বলে রুকু করবেন ও সেজদা করে আখেরি বৈঠকের মাধ্যমে নামাজ শেষ করবে। (রদ্দুল মুখতার ৩/৫৬, বাদায়েউস সানায়ে ১/৬২৩)
মন্তব্য